ফের মহাকাশে পাড়ি দেবে টার্ডিগ্রেড অর্থাৎ জল ভালুকেরা। স্পেসএক্স-এর মহাকাশযান ‘ড্রাগন’ জল ভালুকের নিয়ে যাবে মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এ।জানা গিয়েছে ,নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৫৯ মিনিটে(ভারতীয় সময়) ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটে চেপে রওনা দেবে ‘ড্রাগন’। ৩৩২৮ কেজি যন্ত্রপাতি ও কিছু জীব গবেষণার উপাদান হিসাবে নিয়ে যাবে । যার মধ্যে অন্ধকারে উজ্জ্বল ১২৮টি ববটেল স্কুইড ও ৫০০০ টার্ডিগ্রেড রাখা হবে।
গোটা বিশ্বের কাছে টার্ডিগ্রেডি এক বিস্ময়কর জীব। এদেরকে জলে ফোটা ফেলনে বা ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে , গুটলি পাকিয়ে দিলেও বা শুকিয়ে নিলেও , মহাকাশেতেও প্রায় অভিকর্ষে শূন্যস্তানে ফেলা হলেও কখনও এদের মৃত্যু হবে না। কারণটা হোলো এরা ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতার শূন্যের কাছাকাছি উষ্ণতাতেও এরা বেঁচে থাকতে পারে । ২০০৭-সালে মহাকাশে থেকে ঘুরিয়ে আনার পরে এদের অনেককে ডিম পাড়তে দেখা গিয়েছে।। আবার সুস্থ -সবল বাচ্চা হতে দেখা গিয়েছে। হিমালয়ের ১৮ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় হিম করা ঠাণ্ডাতেও ,’ জাপানের 'সপ্ত নরক' ফুটন্ত কুণ্ডেও, সমুদ্রের গভীরে ও দক্ষিণ মেরুর হিমেতেও দেখা যায়।
এদের জিয়নকাঠির রহস্যটাকে জানার চেষ্টা হবে মহাকাশের আন্তর্জাতিক গবেষণাগারে। মহাকাশে মানুষের অনেক রকম চাপ কমানোর কোনও উপায় এই বহুকোষী প্রাণীগুলির কাছ থেকে জানা যেতে পারে । কম জলেতেও কী তুলোর চাষ হতে পারে সব কিছু খুঁতিয়ে দেখা হবে। এরা আকারের দিক থেকে ১ - ১.৫ মিলিমিটার মধ্যে হয়ে থেকে। অনুবীক্ষণ যন্ত্রে চেহারাঅনুযায়ী এদের জল ভালুক বা মস পিগলেট বলা হয়। থাবাওয়ালা আটটি পা ও গোল অদ্ভুত ধরণের মুখ দেখা যায়। । মহাকাশে আমাদের খোলা ছেড়ে দিলে আমরা ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে জ্ঞান হারাবো। পরে মুহূর্তে মধ্যেয় গোটা শরীরে কোষের ডিএনএগুলিও ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে। কিন্ত টার্ডিগ্রেডিদের এরকম কিছু হজতেই দেখা যায় না দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে।
আমাদের শরীরে কোষের জল শুকিয়ে আমরা মারা যাই। কিন্তু এদেরক্ষেত্রে জল শুকুয়ে গেলে এদের বিপাকের হার ১০ হাজার ভাগের এক ভাগ (০.০১%)-এ নেমে আসে। অনেক দশক পরে জল পেলেই ফের তরতাজা হয়ে ওঠে । ২০১৯-এ ইজ়রায়েলের একটি যান এই জল ভালুকদের চাঁদে পাঠিয়েছিল,তবে যানটি চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে ভেঙে যায়। তবে বিজ্ঞানীদের অনুমান জল ভালুকেরা চাঁদে এখনও বেঁচে আছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box