'প্রাইমারী ইডিওপ্যাথিক রেট্রোপেরিটোনিয়াল নেক্রটাইজিং ফাসিআইটিস'। এটি covid 19-এর থেকে বিপদজনক।এই রোগটি লাখে বা কয়েক লাখ একটি নয়। কোটিতে কদাচিৎ একজন আক্রান্তের সংখ্যা মিলে এই রোগে। পৃথিবীতে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এমন উদাহরণ রোগের খুঁজে পাওয়া দায়। এখনো পর্যন্ত নথিভুক্ত রয়েছে 14 জনের নাম যার মধ্যে 11 জন মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে কলকাতায় সন্ধান পাওয়া গেছে এই রোগে আক্রান্ত 15 তম ব্যক্তির। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বাসিন্দা অরিন্দম ব্যানার্জি হলেন, সেই বিরল রোগ 15তম প্রতিনিধি।
অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন ।ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যেটা হয় ,এটাকে বলা হয় ইডিওপ্যাথিক প্রাইমারী রেট্রোপেরিটোনিয়াল নেক্রটাইজিং ফাসিআইটিস। আমাদের যত অর্গান আছে পেটের ভিতর একদম পেছনে স্পাইনাল কর্ডের লেভেল থেকে শুরু করে সামনের নাভি পর্যন্ত দুদিকেই সমস্ত কিছু চর্ব,কিছু আবোরণ ,আর লেয়ার দিয়ে সাপোর্টেড থাকে। যার জন্য আমাদের অর্গানগুলো ফানসান করতে পারে। পিঠের হাড় থেকে নার্ভ, ব্লাড প্রেসার রক্তনালী আশেপাশে সমস্ত চর্বি পচে যায়। including পেটের যত আবরণ চর্বির লেয়ার মাংসপেশী সমস্ত পচে যায়।
রোগী অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে আসে,এমন অবস্থা হয়ে যায় যে কোনো মুহূর্তে মারা যেতে পারে। কলকাতার এই রোগীটির অবস্থা সিরিয়াস ছিল। রোগীটিকে সিটি স্ক্যান ও ব্লাড টেস্ট করে, তারপর ধরতে পারেন খুব একটা রেয়ার ডাইনোসিস।
প্রথমটা যদি হয় রোগ নির্ণয় ,দ্বিতীয় টা হচ্ছে কঠিন থেকে কঠিনতর অস্ত্রোপাচার। রোগ নিরাময়ের জন্য যত পেছন থেকে সামনে অর্গানে চর্বির পচে যাওয়া থেকে বাঁচাতে হবে । নার্ভ বাঁচাতে ও অর্গান এবং ব্লাড প্রেসার বাঁচাতে হয় । সবকিছু কেটে বাদ দিতে হয়।তারপর প্রেসেন্টৈর রিকভারি খুব ভালো হয়।
আরব আবার বিরল কৃতিত্বের অধিকারী এই শহর এই শহরের চিকিৎসা জগত। কৃতিত্বের মুখে একাধিক পালক ।বিশ্বের 14 জন রোগীর মধ্যে মধ্যে যে তিনজন বেঁচেছেন অস্ত্র পাচারের সময় তাদের বয়স ছিল কুঁড়ির ঘরে। তবে অরিন্দম ব্যানার্জীর বয়স পঞ্চাশের ঘরে। আগের 3 টি কেসে পচা আবরণ বাদ দিতে গিয়ে ,প্রত্যেকের একাধিকবার সার্জারি করতে হয়েছিল। এখানে একবার অস্ত্রোপাচারের পরে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আগের তিনজনকে প্রায় দেড় মাস ধরে হাসপাতালে থাকতে হয়েছি রোগীদের। কলকাতায় 14 দিনেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন অরিন্দম ব্যানার্জি। কিছু ক্ষেত্রে বলা হয়, প্যানক্রিয়াস বা কিডনির প্রবলেম ওইগুলো অলরেডি ভীষণ দুর্লভ। তারমধ্যে রেয়ারেস্ট অফ রেয়ারেস্ট বলা হয় প্রাইমারি ইডিওপ্যাথিক পেশেন্টদেরকে। দেখা গেছে, কয়েক মাসের ফলো আপের মধ্যে আছে তার মধ্যেও কোনো কারণ ধরা পড়ে না। এজন্য এই রোগটিকে বলা হয় ইডিওপ্যাথিক, যার কোনো কারণ ধরা পড়ে না ।পুরো কেসটা লিখিতভাবে আন্তর্জাতিক জার্নালে পাঠাচ্ছেন ডক্টর শুদ্ধসত্ত্ব সেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box