ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন।তিনি তৃণমূলের যুব সভাপতি ছিলেন নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নতুন পদে যুক্ত হন। ওই পদের তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে তৃণমূলের নতুন যুব সভানেত্রী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়।
ভোটের আগে একুশে বিধানসভায় মমতা ব্যানার্জির পরেই অভিষেক ব্যানার্জিকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে। তিনি প্রশান্ত কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে দলের রণনীতি সাজিয়েছিলেন। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পাশাপাশি ভোটের প্রচারে অভিষেক ব্যানার্জিও গোটা রাজ্য চষে বেরিয়েছিলেন । তিনি প্রতেক সভায় দাবি করতেন, তৃণমূল কংগ্রেস 200 বেশি আসন নিয়ে আবার বাংলায় ফিরে আসবে ।তার মুখের কথা কার্যক্ষেত্র কিন্তু তাই হয়েছে। উল্লেখযোগ্য নির্বাচন যোগ্য নেতা হিসেবে আভিষেক নাম প্রথমে উঠে আসে। একুশে ভোটের ময়দানের মাটিতে তো বটেই ফেসবুকে, টুইটারে বিজেপির সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।একের পর এক নেতার পদত্যাগ, বিজেপির আগ্রাসী প্রচারের সত্ত্বেও তাল্মিল রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে দলের একাধিক প্রাবীন নেতার আপত্তি থাকলেও তার উপর ভরসা রেখেছিলেন অভিষেক।
যুব তৃণমূল সভাপতি হলেও অভিষেক যে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডো তা বুজিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা নেত্রীরা। রাজনীতিমহলে বিজেপি নেতারা তো বটেই এমনকি তাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত " পিসি ভাইপো" বলে কটাক্ষ করেছিলেন। পাল্টা জবাবে তিনি নাম ধরে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে ।তৃণমুল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পরেই শুভেন্দু অধিকারি আভিষেককে "তোলাবাজ ভাইপো" বলে খোঁচা দিয়েছিলেন।রাজনীতি মহলের একাংশের মতে, মমতার একাসনে তাকে বসিয়ে বিরোধীরাই তাকে নেতা হিসাবে প্রতিষঠা দিয়েছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box