করোনার এই অতিমারি মানুষের জীবনকে একেবারে অতিষ্ট করে তুলেছে।করোনার এই অতি মাত্রায় বৃদ্ধি বাংলাদেশ তদা সারাদেশে একটা চিন্তার কারন হয়ে দারিয়েছে। তবে দীর্ঘ কয়েকদিনের লকডাউন জারি করেও করোনা সক্রমন লাগাম আনা যায়নি। তাই বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে আগামী সোমবার থেকে বাংলাদেশ কড়া লকডাউন তথা শাটডাউন জারি হচ্ছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, অনির্দিষ্টকালের জন্য সম্বার থেকে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে এবং সব ধরনের গাড়ী চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। শুধুমাত্র চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহকারি গাড়ী ও অ্যাম্বুলেন্স চলবে বলে জানাচ্ছে প্রসাসন । এই লকডাউন চলাকালীন স্বাস্থ্যের সমস্যা এবং জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোনো যাবে না বের হলে কঠোর শাস্তির মুখেও পড়তে হবে।
তবে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের জন্য ছাড় থাকছে। বাংলাদেশ প্রাশাসন প্রথম দফায় করা সাতদিনের শাটডাউন দিয়ে দেখতে চাই। পরিস্থিতি সামলানো না গেলে এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে প্রশাসন।
করোনার সক্রমনবারার হ্রাস করার কারনে চলতি বছরে মাথায় বাংলাদেশে সরকার ৫ ই এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল ২ য় বারের জন্য লকডাউন জারি করেছিলেন। কিন্তু তাতেও সক্রমন না কমে উল্টে, শেষ এক মাসের দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা দ্রুতহারে বেড়ে গেছে। তবে বিশেষত ইদ-উল-ফিতরের পর আক্রান্ত সংখ্যা আর দ্রুত হারে বেড়েছে।
এই পরিস্থিতি বিচার করেই বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিলো আগামী ২২ শে জুন থেকে গোটা রাজ্য জুড়ে কড়া লকডাউন দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার জন্য।আশেপাশের নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ , মাদারীপুর ,গাজীপুর ,গোপালগঞ্জ,রাজবাড়ী থেকে জরুরী পরিষেবা ছাড়া মূল শহরে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হোলো না তাই এবারে বাংলাদেশ সরকার চাইছে পুরোপুরি লকডাউন করে করোনা সক্রমন হ্রাস করতে।
এই অবস্থাতে জানা গিয়েছে বাংলাদেশের ৬৪ টির মধ্যে ৪০টি জেলাই করোনা সক্রমন মাত্রা অতরিক্ত। শুক্রবারের কোরোনা রিপোর্ট দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘন্টায় ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নুতুন করে সক্রমন হয়েছে ৫ হাজার ৮৬৯ জন। পরিস্থিতি সামলাতে পুরোপুরি শাটডাউন জারি করতে চাইছেন বাংলাদেশ প্রশাসন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box