পরিমনিকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বেগমকে খোলা চিঠি তার ''আমায় বাঁচান মা ''

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরিমনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে কাঁদতে কাঁদতে নায়িকা জানান, 'আমি যদি মরে যায় জানবেন আমায় মেরে ফেলা হয়েছে, আমি আত্মাহত্যা করতে পারি না '। পরিমনি এরকম পোস্ট সোশ্যাল মিডিওয়ায় জুড়ে ঝড় তুলেছে। 

টলিউডের অভিনেত্রী বললেন, ধর্ষণ হওয়ার হাত থেকে কোনোরকম বেঁচেছেন এবং তার মুত্য পর্যন্ত হতে পারতো'।  তার নিজের প্রোফাইলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনাটি শেয়ার করেতে দেখা গেছে এবং বাড়িতে  সাংবাদিক সম্মেলেন ডেকে পর ঘটনাটি প্রাবিলিকের কাছে শেয়ার করেন। তিনি জানান গত ১০ জুন পরিমনি  তার বুন্ধু  অমিত ও ফ্যাশান ডিজাইনার জিমির সঙ্গে ঢাকা বোট ক্লাবে গিয়েছেলেন রাত ১২ টার সময় । সেই ক্লাবের সভাপতি নাশেরিও মাহমুদ নামক এক ব্যাক্তি নায়িকা পরমনিকে অ্যালকোহল ড্রিঙ্ক করার প্রস্তাব দেন। পরিমনি রাজি না হলে  তাকে জোর জবরদস্তি করা হয় । নায়িকা না বলার কারনে তার উপর রেগে ওই ব্যাক্তি চর মারেন,ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন এবং তাকে প্রানে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয় এমনটাই দাবি অভিনেত্রীর।

তিনি মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা বেগমকে চিঠি- আমি এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক আমার পেশা চলচ্চিত্র। আমি ধর্ষণে , শারিরিক নির্যাতনের  শিকার হয়েছি । আমাকে রেপ করে হত্যা করার চেষ্টা করে হয়েছিলো। তবে কোনো রকমে বেঁচে ফিরেছে ' আমকে বাঁচান মা '। 

তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছেন। এই ভয়ঙ্কর ঘটনার পর কোনোরকম সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন । তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে তার লিখিত কোনও অভিযোগ নেওয়া হয়নি । কারন বোট ক্লাবের সভাপতি পুলিশ অফিসারদের ঘনিষ্ঠ  বুন্ধু । তাই উপায় না পেয়ে  তিনি একেবারে প্রাধান মন্ত্রী কাছে অভিযোগ করে খোলা চিঠির মাধ্যমে। 

এই ঘটনার পর  অভিনেত্রী পরি অত্যন্ত ভয়ে দিন কাটাছেন। সাংবাদিক সম্মেলনের পর সবাইকে ঘটনাটি জানানোর পর তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা হতে পারে । তাই তাকে যেন রক্ষা করা হয়, আবেদন মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে । অভিনেত্রী চিঠিতে লিখেছেইলেন '' আমার আপানাকে দরকার মা আমার এখন বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে দরকার মা ।আর বলেন আমি বেঁচে থাকতে চায় আমাকে বাঁচিয়ে নাও মা।এই খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যপক ভাবে ঝড় তুলেছে। এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করে তাদের শ্যাস্তি দাবি করছেন।