গ্যাসের সমস্যা থেকে বাঁচার উপায়গুলি জেনে নিন

সারা বিশ্বে এমন কোন লোক নেই যার গ্যাসের সমস্যা হয়না।গ্যাস্ট্রিক আমাদের জীবনে চিন্তা দায়ক একটা রোগ ,যেটা সবার মধ্যে থাকে। তাছাড়া বহুদিন ধরে গ্যাস্ট্রিক সমস্যায়  ভুগতে থাকলে, তার থেকে নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। তেল, ঝাল ভাজাভুজি খাবার দিনের-পর-দিন  খেতে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা যায়। 


সারারাত খাবার খাওয়ায় দীর্ঘ বিরতি, খালি পেটে থাকা ,অতিরিক্ত চা ও কফি খেলে গ্যাস হয়।এছাড়া মসলাদার খাবার ,ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া,খাবারে অনিয়ম ,ট্রেস, অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধমপান, রাতে ঘুমানোর সময় খাবার খাওয়া, খাবার খাওয়ার পরেই ঘুমানো ইত্যাদি কারণে গ্যাস হয়। গ্যাস হলে পেট ফুলে যায়, বুক জ্বালাপোড়া  এবং বমির মতো সমস্যা হতে পারে।গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগলে কোন কিছু খেতে ভালো লাগেনা এবং মনে হয় যেন সবসময় পেট ভরতি আছে। গ্যাস হলে আমরা সাধারণত দোকান থেকে কোন ওষুধ খেয়েনি- এটা হলো সাময়িক নিরাময় পদ্ধতি। তবে বেশি মাত্রায় ঔষধ খেলে অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তবে ঔষধ খাওয়ার থেকে ভালো কিছু ভেষজ গুনকে কাজে লাগিয়ে গ্যাসের সমস্যা দুর করতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

কি খেলে কি উপকার হয়?


পেট ভারভার থাকলে, রাত্রে ঘুমোনার আগে এক ইঞ্চি মতো  আদা নুন দিয়ে চিবিয়ে খেয়ে নাও।তার কিছুক্ষণ বাদ গরমজল খেলে দেখা যাবে, আর কোন সমস্যা হবেনা।

কাঁচা হলুদ গরম জলের মধ্যে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে  খেলে তাহলে গ্যাসের সমস্যা উপকার পাওয়া যায়।


মধু রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস জল এর মধ্যে এক চামচ মধু দিয়ে খেলে তাহলে গ্যাসের সমস্যা দূর করে।

কলাতে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টি অ্যাসিডি যা অ্যাসিডিটি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে । প্রতিদিন একটি করে কলা খেলো গ্যাসের সমস্যা দূর করে।


তুলসী পাতাপাকস্থলীর মধ্যে শ্লেষ্মা মতো পদার্থ বাড়াতে উদ্দীপনা জাগায়। এর রয়েছে শীতলীকরণ এবং বায়ুনাশক উপাদন গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।


বেশিভাগ হজমজনিত সমস্যার জন্য দারুচিনি ভালো। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি অ্যাসিডি যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে এবং শোষণ প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে তোলে।

পুদিনা পাতা অ্যাসিডি নিঃসরণের গতি কমায় এবং হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই পাতার একটি শীতলীকরণ প্রভাবও রয়েছে যা অ্যাসিড রিফ্লেক্সের এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যথা ও জ্বালাপোড়া কমায়।কয়েকটি পাতা নিয়ে কুচিকুচি করে জলের মধ্যে নিয়ে গরম করে জলটি পান করুন।

মৌরি তাৎক্ষণিক গ্যাস কমাতে সাহায্য করে এটি বদহজম এবং পেট ফাঁপা চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন। আধ কাপ জলে কয়েকটি মৌরি ভিজেয়ে নিন এবং সেই জলটি পান করুন।


ঘোল তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাসিড কমিয়ে স্বস্তি এনে দেয়।এটি ক্যালসিয়াম তাৎক্ষণিকভাবে পাকস্থলীতে অ্যাসিড জমা হওয়া প্রতিরোধ করে।এর সঙ্গে গোলমরিচ যোগ করলে আরো ভালো ফল পাওয়া যায় ।এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে।


লবঙ্গ পাকস্থলীতে গ্যাস জমে থাকা প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন দুটো লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে আপনি চিরতরে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।


ডাবের জল পাকস্থলীতে শ্লেষ্মা উৎপাদনে সাহায্য করে।পাকস্থলীতে অতিরিক্ত গ্যাস সৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।নিয়মিত ডাবের জল পান করলে দেহের পিএইচ অ্যাসিটিক লেভেল খালি হয়ে যায়।

ঠান্ডা দুধ খেলে পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড শিথিল হয়ে আসে। দুধে আছে ক্যালসিয়াম যা পাকস্থলীর গ্যাস সৃষ্টি হতে প্রতিরোধ করে। অ্যাসিডিটি সমস্যা হলে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করুন।


এলাচ পাকস্থলীর হজম ক্ষমতা বাড়াতে এটি অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণের কুপ্রভাব দূর করে। এলাচ গুঁড়ো করে জলে সেদ্ধ করে জল টুকু পান করুন উপকার পাবেন।

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box

নবীনতর পূর্বতন